There were allegations of widespread corruption in the recruitment of teachers and Group C and D staff through the School Service Commission.
বং২৪ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) মাধ্যমে ২০১৬ সালে নবম-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক এবং গ্রুপ C ও D কর্মীদের নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সিবিআই তদন্তে বহু অনিয়মের প্রমাণ মেলে এবং আদালতের নির্দেশে বহু শিক্ষক-কর্মচারীর চাকরি বাতিল হয়। ফলে বহু 'যোগ্য' প্রার্থী চাকরি হারান, যাদের অনেকেই আন্দোলনে নেমেছিলেন।
গতকাল, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গের এসএসসি (স্কুল সার্ভিস কমিশন) নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে, যা রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য আংশিক স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে।
রায়ের মূল পয়েন্ট:
1. চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা আপাতত ক্লাস নিতে পারবেন:
নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির যেসব শিক্ষক "অযোগ্য" বা "দাগি" হিসেবে চিহ্নিত হননি, তারা ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত ক্লাস নিতে পারবেন।
তাদের এই সময় পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে পুনর্নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
2. গ্রুপ C ও D কর্মীদের জন্য ছাড় নেই:
যাদের চাকরি ইতিমধ্যে বাতিল হয়েছে এবং যারা গ্রুপ C ও D-তে ছিলেন, তাদের জন্য এই ছাড় প্রযোজ্য নয়। তাদের চাকরি আগের মতোই বাতিল থাকবে।
3. নতুন নিয়োগের নির্দেশ:
রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছে, ৩১ মে ২০২৫-এর মধ্যে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে।
4. আদালতের সতর্কবার্তা:
নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন না হলে, সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারে।
প্রতিক্রিয়া:
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায়কে “স্বস্তির” বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেন, “আইন আমাদের পক্ষে, আমরা শিক্ষকদের পাশে আছি।”
আন্দোলনরত চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। তাদের দাবি, যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথক তালিকা প্রকাশ করা হোক, যাতে প্রকৃতভাবে যোগ্য প্রার্থীরা চিহ্নিত হতে পারেন।
এই রায় সাময়িক স্বস্তি দিলেও, স্থায়ী সমাধানের জন্য রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা ও দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া জরুরি।
COMMENTS