ময়ূখ রঞ্জন ঘোষঃ টুনির ঘরে যে ধন আছে, রাজার ঘরে সে ধন নাই! তাই হয়তো বারবার ঘুরে ঘুরে আসি, প্রতিবার অপেক্ষা করি ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য। পৃথি...
ময়ূখ রঞ্জন ঘোষঃ টুনির ঘরে যে ধন আছে, রাজার ঘরে সে ধন নাই! তাই হয়তো বারবার ঘুরে ঘুরে আসি, প্রতিবার অপেক্ষা করি ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য। পৃথিবীর সবচেয়ে বিউটিফুল ইভেন্ট! আজকের লেখাটা এই ছবিটা দেখেই। খারাপ লাগছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো সব পেয়েছে, সব উপার্জন করেছে, সব ছিনিয়ে নিয়েছে। একটা ওয়ার্ল্ড কাপ ছাড়া। খা খা করছে তার ড্রয়িং রুম! ওই একটা কাপের অভাবে।
হয়তো এ জন্যই বলে, You cannot buy a World Cup. You earn it. টাকা দিয়ে, প্রতিপত্তি দিয়ে ফুটবল বিশ্বকাপ কেনা যায় না। ঢোকা যায় না। সেই সুযোগ থাকলে ১৪০ কোটি মানুষ নিশ্চয় চেষ্টা করতো। চাপে, তাপে, উত্তাপে ভারতের অন্তর্ভুক্তি। সেটা সম্ভব হবে তখনই যখন ভারত উত্তীর্ণ হবে। আজ না হয় কাল হবেই। চোয়াল শক্ত করে লড়ে যেতে হবে। ততদিন ছোট ছোট দেশগুলো চোখে চোখ রেখে লড়ে যাক। এই ইভেন্টে উচা নীচা ছোট বড় সমান! তুমি বিশ্বকাপের অংশ মানে তুমি ও মেসি সমান। নেইমার এবং তোমার খাবারের জায়গা এক। এই সাম্যবাদ ফুটবলের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট বলেই সম্ভব।
কিন্তু সবটা সাম্য নেই এখানে। থাকার কথাও না। একটা সময় অবধি যারা ফুটবল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ দেশ না, সেই দেশের মানুষেরা ট্রফি ছুঁতে পারত না। এখনও অনেক দেশের ক্যাপ্টেন হাতে ধরে ছবি তুলতে পারেনা এই ট্রফি। এখানেই এর গরিমা। টাকা ছুঁড়লেই সব হয়না। উপার্জন করতে হবে! হয়তো এই জন্যই নেইমার, মেসি হোক বা রোনাল্ডো, বারবার কাঙালের মত লড়ে যায়। কেঁদে ফেলে। মেরে পাস ক্লাব ফুটবল, লক্ষ কোটির কনট্র্যাক্ট, নিজস্ব আইল্যান্ড, ডানাকাটা পরী, হাজার হাজার ট্রফি হে। তুমহারে পাস ক্যায় হে? হীনমন্যতা বাড়িয়ে পেলে, মারাডোনা, জিদান, কাফু হয়তো বলে, মেরে পাস ওয়ার্ল্ড কাপ হে!
COMMENTS